🎉 Welcome to Shop.MightLearn.com   |   🔖 Combo Offers Available   |   📚 Trusted by 10,000+ Students   |   ✨ New Stock Just Arrived!
🎉 Welcome to Shop.MightLearn.com   |   🔖 Combo Offers Available   |   📚 Trusted by 10,000+ Students   |   ✨ New Stock Just Arrived!

WBBSE Class 7 Sahityamela “সাহিত্য়মেলা” Chapter 3 Answer (Bengali Medium) | আত্মকথা Chapter Answer

Chapter 3

Class 7 Sahityamela

আত্মকথা

অধ্যায় ৯

আত্মকথা

লেখক পরিচয়

রামকিঙ্কর বেইজ ছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকেই তিনি ছিলেন ছবি আঁকায় পারদর্শী। পুতুল গড়া, থিয়েটারের সিন তৈরি, ছবি আঁকা ইত্যাদি কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে শিল্পী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন। তাঁর ছবিতে, ভাস্কর্যে রাঢ় দেশের মাটি ও মানুষের চিত্র ফুটে ওঠে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিল্পকলার নানা বিশেষত্ব তাঁর ছবির মধ্যে লক্ষ করা যায়।

শান্তিনিকেতনে তাঁর গড়া বিখ্যাত মূর্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সুজাতা’, ‘হাটের সাঁওতাল পরিবার’, ‘গান্ধিজি’, ‘বুদ্ধদেব’, ‘কাজের শেষে সাঁওতাল রমণী’ ইত্যাদি। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ‘বিশ্বভারতী’ তাঁকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে।

• শিল্পীর বৈশিষ্ট্য

১. শুধু ভাস্কর্য নয়, চিত্র শিল্পেরও চর্চা করেছেন রামকিঙ্কর বেইজ।

২. তাঁর ছবিগুলি প্রধানত প্রকৃতিকেন্দ্রিক।

৩. সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভাস্কর্য মূর্তি করেছেন।

৪. সাঁওতাল জীবন তাঁর শিল্পকর্মের অন্যতম আকর্ষণীয় ক্ষেত্র।

বিষয়বস্তু

এখানে লেখকের জীবনের নানা উত্থান-পতনের কাহিনি চিত্রিত হয়েছে। তাঁর ছবি আঁকার প্রতি গভীর আকর্ষণ, পড়াশোনার প্রতি অনিচ্ছা সবই এখানে ফুটে উঠেছে। তারপর রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে এসে শান্তিনিকেতনে আসা। সেখানে শিল্পী নন্দলাল বসুর সংস্পর্শে এসে শিক্ষানবিশী করা। প্রথমে অয়েল পেন্টিং করা। কীভাবে নন্দলাল বসু লেখকের জীবনকে প্রভাবিত করেছিলেন তা বলা, এইসবই এই লেখায় ফুটে উঠেছে।

নামকরণের সার্থকতা

‘আত্মকথা’ শিল্পীর আত্মজীবনীমূলক রচনা। এখানে শিল্পী নিজের জীবনেরচালচিত্র তুলে ধরেছেন। রামকিঙ্কর বেইজ কথা প্রসঙ্গে নিজের স্কুল, অসহযোগ আন্দোলন, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয়, দেবদেবীর ছবি, বাড়ির সামনে রাস্তাঘাট, বাড়ি ঘরের দেয়ালে নানা চিত্র সম্পর্কে অপূর্ব সব বর্ণনা দিয়েছেন। নন্দলাল বসুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গভীরতা। এই লেখায় ধরা পড়েছে। আত্মকথার মধ্যে ব্যক্তির নিজস্বতা ধরা পড়ে। লেখক উত্তমপুরুষে নিজের কথা বলতে গিয়ে পাঠকের কাছে তখনকার সামগ্রিক ছবিকেই তুলে ধরতে সফল হয়েছেন। তাই ‘আত্মকথা’ নামকরণটি সার্থক হয়েছে।

• সঠিক অর্থ অভিধান •

অ্যাকাডেমিক-প্রথাগত লেখাপড়া। কপি-অনুকরণ। ভিসুয়াল আর্ট-ছবি। নন্-কো অপারেশন-অসহযোগ আন্দোলন। প্রসেশন-শোভাযাত্রা। পোট্রেট-প্রতিকৃতি। অয়েল পেন্ট- তৈলচিত্র। অ্যানাটমি-শরীরতত্ত্ব। মাসল-পেশি। ইনস্ট্রাকশন – নির্দেশ। ইমপোজ-আরোপ। ওয়েস্টার্ন আর্ট-শিল্পকলার পাশ্চাত্যধারা। পেইন্টার-শিল্পী। ল্যান্ডস্কেপ-প্রকৃতির ছবি।

*রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়-‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদক।

হাতেকলমে

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো।

১.১ রামকিঙ্করের প্রথম শিল্পের ইস্কুল বাড়ির পাশের-কামার পাড়া/কুমোরপাড়া/পটুয়াপাড়া।

১.২ ‘পোট্রেট’ শব্দটির অর্থ হল-প্রতিকৃতি/আত্ম-প্রতিকৃতি/ প্রকৃতির ছবি।

১.৩ ‘অয়েল পেন্টিং’ বলতে বোঝায়-জলরঙে আঁকা ছবি/ মোমরঙে আঁকা ছবি/তেলরঙে আঁকা ছবি।

১.৪ রামকিত্বরের ছবি বা মূর্তির অধিকাংশ ক্যারেকটারই যে খুব- অসাধারণ/সাধারণ/নগণ্য।

উত্তর:

২. একই অর্থযুক্ত শব্দ রচনাংশ থেকে বেছে নিয়ে লেখো।

উত্তর:

৩. বিশেষ্য থেকে বিশেষণ এবং বিশেষণ থেকে বিশেষ্য বদলাও।

উত্তর:

৪. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

৪.১ কী কী দিয়ে শিল্পী রামকিঙ্কর রঙের প্রয়োজন মেটাতেন?

উত্তর:

৪.২ কার সৌজন্যে রামকিঙ্করের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে যোগাযোগ হয়?

উত্তর:

৪.৩ শান্তিনিকেতনে আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে কেমন মনোভাব দেখাতেন?

উত্তর:

৪.৪ নন্দলাল বসুর কাজের কোন দিকটা শিল্পী রামকিঙ্করকে বেশি প্রভাবিত করেছিল?

উত্তর:

৫. নিম্নলিখিত ব্যক্তি ও বিষয়গুলি নিয়ে দু-একটি বাক্য লেখো।

উত্তর:

৬.১ “ভিসুয়াল আর্টে আমার প্রথম বর্ণপরিচয়।”-শিল্পী রামকিঙ্করের

ছবির সঙ্গে প্রথম বর্ণপরিচয় হয়েছিলো কীভাবে?

উত্তর:

৬.২ ‘জেনারেল লাইব্রেরির উপরতলায় কলাভবনে নিয়ে গেলেন।’ -কে, কাকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তারপর কী ঘটেছিল?

উত্তর:

৬.৩ ‘যতদূর মনে হচ্ছে-গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ’-কার উক্তি? ‘গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ’ কীসের নাম? তিনি কীভাবে এ ধরনের কাজ শিখেছিলেন?

উত্তর:

৬.৪ ‘এই সাদামাটা সুরটা আমাকে ভীষণভাবে টানে’- কাকে টানে? ‘সাদামাটা সুর’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? তাঁকে এই সুর টানে কেন?

উত্তর:

৭. ‘সাহিত্য মেলা’ বইয়ের কোনো একটি কবিতা বা গল্প বা কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তুমি একটি ছবি এঁকে দেখাও। নিজের আঁকা ছবি নিয়ে পাঁচ/ছয়টি বাক্য লিখে নিজের মতামত জানাও। (Open-Ended Question)

উত্তর:

একটি বাক্যে উত্তর দাও:

১. রামকিঙ্কর বেইজকে কে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন?

উত্তর:

২. রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় কে ছিলেন?

উত্তর:

৩. বাবা লিখতে দিলে রামকিঙ্কর কী করতেন?

উত্তর:

৪. নন্দলাল বসু কোন্ ধরনের আর্টের প্রবর্তক ছিলেন?

উত্তর:

৫. রামকিঙ্কর বেইজের সঙ্গে নন্দলাল বসুর কোথায় আলাপ হয়েছিল?

উত্তর:

৬ .কোন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কর্তৃত্বের বাইরে ছিল?

উত্তর:

৭. নন্দলাল কী ধরনের আর্ট পছন্দ করতেন না?

উত্তর:

৮. নন্দলালের পোশাক কেমন ছিল?

উত্তর:

৯. ‘আচ্ছা, দু-তিন বছর থাক তো।’-বক্তা কে?

উত্তর:

১০. নন্দলাল শিক্ষক হিসাবে কেমন ছিলেন?

উত্তর:

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১. “মূর্তি গড়ার ইতিহাসও খুব মজার।”-রামকিঙ্কর যে মজার কথা

বলেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো।***

উত্তর:

২. ব্রিটিশ কর্তৃত্বের বাইরে কোন্ জায়গাটি সেদিন ছিল? ‘সেদিন’ বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:

৩. ‘আচার্য নন্দলালকে দেখতে কেমন ছিল? কেমন ছিল তাঁর পোশাক?

উত্তর:

৪. নন্-কোঅপারেশন আন্দোলনে রামকিঙ্কর বেইজের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর:

৫. কেন রামকিঙ্কর স্কুলে অবৈতনিক ছাত্র হিসাবে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন? সেই সময় স্কুলে তাঁর কাজ কী ছিল?

উত্তর:

৬. ‘এটাই ছিল মূল ধারণা’। -ধারণাটি কী ছিল? এর ফলে কী হয়েছিল?

উত্তর:

৭. “আমার সৌভাগ্য”- কোন্ বিষয়কে লেখক তাঁর সৌভাগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন?***

উত্তর:

৮. টীকা লেখো: নন্দলাল বসু, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়।***

• নন্দলাল বসু : শিল্প জগতে নন্দলাল বসু (৩.২.১৮৮৩- ১৬.৪.১৯৬৬) বিশিষ্ট নাম। ছোটোবেলায় কুমোরদের হাঁড়িকুড়ি দেখে নিজে মাটির কাজ করতে আগ্রহী হন। প্রিন্সিপাল হ্যাভেল সাহেবের সামনে ‘সিদ্ধিদাতা গণেশ’ এঁকে আর্টস্কুলে প্রবেশাধিকার লাভ করেন। অবনীন্দ্রনাথের বাড়িতে তিন বছর শিল্পচর্চায় নিমগ্ন থাকেন। রবীন্দ্রনাথের

বহু গ্রন্থের অলংকরণ করেন।

১৯২০ সাল থেকে স্থায়ীভাবে শান্তিনিকেতনে বাস করেন। ১৯২২ সালে কলাভবনের অধ্যক্ষ হন। ১৯৫৪ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ উপাধি লাভ করেন। তাঁর বিখ্যাত শিল্পসৃষ্টি হল ‘উমার ব্যথা’, ‘উমার তপস্যা’, ‘পঞ্চপান্ডবের মহাপ্রস্থান’, ‘নটীর পূজা’ ইত্যাদি।

• রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও খ্যাতনামা সাংবাদিক

ছিলেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় (২৯.৫.১৮৬৫-৩০.৯.১৯৪৩)। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন তিনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়িয়েছেন। ‘মডার্ন রিভিউ’ ও ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি হন।

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ‘বিশাল ভারত’ নামাঙ্কিত হিন্দি পত্রিকা প্রকাশ করেন প্রতি ইংরেজি বা বাংলা মাসের পয়লা তারিখে। পত্রিকা প্রকাশের পদ্ধতি এবং ভারতীয় পদ্ধতি অনুসারে অঙ্কিত চিত্রকলার প্রকাশ তিনিই প্রথম প্রচলন করেন। 

Shopping Basket
0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop