WBBSE Class 7 Sahityamela “সাহিত্য়মেলা” Chapter 4 Answer (Bengali Medium) | কার দৌড় কদ্দুর Chapter Answer

Chapter 4

Class 7 Sahityamela

কার দৌড় কদ্দুর

অধ্যায় ১৪

কার দৌঁড় কদ্দুর

• লেখক পরিচয়

শিবতোষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং প্রাণীবিজ্ঞানী। কলকাতার প্রেসিডেন্সি ও দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় সহ আমেরিকার রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ইনি জীববিদ্যার উন্নয়নমূলক গবেষণার জন্য জুলজিকাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, এশিয়াটিক সোসাইটি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে অসংখ্য স্বীকৃতি ও সম্মান পান। স্যার দোরাবজি টাটা স্বর্ণপদক, জয়গোবিন্দ স্বর্ণপদক প্রভৃতি এর মধ্যে অন্যতম। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা হল- ‘অণুর উত্তরায়ণ’, ‘লাবণ্যের অ্যানামি’, ‘দিক্বিদিক’, ‘আসা যাওয়ার পথের ধারে।’

• বিষয়বস্তু

এই পৃথিবীতে সবাই দৌড়ে চলেছে একমাত্র গাছ ছাড়া। অ্যামিবা থেকে শুরু করে চড়াই, ঈগল পাখি সবাই ছুটে চলেছে। আমাদের শরীরের ভেতরকার কোশগুলো ছুটে চলেছে। চিতাবাঘ ঘণ্টায় ৭৪০ মাইল বেগে দৌড়ায়, গ্যাজেলি নামক হরিণ ঘণ্টায় ২ মাইল বেগে। আমাদের পৃথিবীও ছুটে চলেছে। সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই হলো জীবনের ব্রত। শাশ্বত সত্যের দিকে যাত্রা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। থামা মানে জীবনের শেষ।

নামকরণের সার্থকতা

লেখক ‘কার দৌড় কদ্দুর’ রচনাটির মধ্যে বিভিন্ন প্রাণীর অর্থাৎ মানুষ থেকে শুরু করে অ্যামিবা, চিতা, হাতি ইত্যাদি সকল প্রাণীর দৌড় সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রাণীর দৌড়ের কারণ ব্যাখা করেছেন। তাই বিষয়ের দিক থেকে এই রচনাটির নাম ‘কার দৌড় কদ্দুর’ সার্থক হয়েছে।

• সঠিক অর্থবিধান

অ্যামিবা এককোশী প্রাণী। সেল-কোশ। মাইল-দৈর্ঘ্যের একক।

হা তে ক ল মে

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:

১.১ উপনিষদে উক্ত ‘চরৈবেতি’ শব্দের অর্থ (যাত্রা থামাও/ এগিয়ে যাও/দাঁড়িও না)

উত্তর:

১.২ পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন (গ্যালিলিও/কোপারনিকাস/সক্রেটিস)

উত্তর:

১.৩ ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন (মার্কিন/পোর্তুগিজ/গ্রিক)।

উত্তর:

১.৪ যে বৈজ্ঞানিক কারণে ‘আপেল দৌড়ায় মাটির দিকে’, সেটি

হলো (মাধ্যাকর্ষণ/ প্লবতা/সন্তরণ-নিয়ম)

উত্তর:

১.৫ আইনস্টাইন ছিলেন (সপ্তদশ/অষ্টাদশ/ঊনবিংশ) শতাব্দীর মানুষ।

উত্তর:

২. শূন্যস্থান পূরণ করো:

২.১ এফিড উড়বার সময় প্রতি সেকেন্ড বার ডানা নাড়ায়।

উত্তর:

২.২ গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময়ে করে। হিসাব

উত্তর:

২.৩ গোবি মরুভূমিতে নামক একটি হরিণ আছে।

উত্তর:

২.৪ টারনস প্রতি বছরে এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়।

উত্তর:

২.৫ ATP-র পুরো কথাটি হলো

উত্তর:

৩ : অতিসংক্ষিপ্ত আকারে নীচের প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর দা  

৩.১ অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর:

৩.২ ‘শামুক চলে যাওয়ার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন”-সেটি আসলে কী?

উত্তর:

৩.৩ “আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকম ভবঘুরে সেল আছে।”-সেলটিকে ‘ভবঘুরে’ বলা হয়েছে কেন?

উত্তর:

৩.৪ “নানা জাতের খরগোশের মধ্যে গতির তারতম্য দেখা যায়”-কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম লেখো।

উত্তর:

৩.৫ কোনো কোনো পতঙ্গ উড়বার সময় তাদের ডানা প্রচণ্ড

জোরে নাড়ে-তোমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গের নাম লেখো। তাদের ছবি সংগ্রহ করে খাতায় লাগাও।

উত্তর:

৩.৬ “কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেয় তার হিসাব আমরা রাখি না।”- কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম লেখো

উত্তর:

 ৩.৭ “রক্ষে এই যে…”- লেখক কোন্ বিষয়টিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন এবং কেন?

উত্তর:

৩.৮ প্যারামোসিয়াম কীভাবে চলাফেরা করে?

উত্তর:

৩.৯ প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীবের নাম লেখো? উত্তর: প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীবের নাম হল অ্যামিবা ও হাইড্রা।

৩.১০ ‘তার চলাফেরার ভঙ্গিটি ভারি মজার’-কার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? তা মজার কীভাবে?

উত্তর:

৩.১১ গমনে সক্ষম গাছ ও গমনে অক্ষম প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর:

৩.১২ কয়েকটি ‘হক্’ জাতীয় পাখির নাম লেখ।

উত্তর:

৩.১৩ আফ্রিকার কী জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে?***

উত্তর:

৩.১৪ ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের কি পরিবর্তন ঘটেছে?

উত্তর:

৩.১৫ পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর:

৪. টীকা লেখো:

  • হিউয়েন সাঙ: হিউয়েন সাঙ ছিলেন একজন চৈনিক পরিব্রাজক। চিন সম্রাট তাই সাঙ্-এর শাসনকালে ইনি চিন দেশ থেকে যাত্রা করে ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে পৌঁছান। তাতার-আফগানিস্তান হয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেন। তাঁর সম্পর্কে জানা যায়-

১. হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে ইনি ভারতে এসেছিলেন।

২. তিনি বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলি ভ্রমণ করেন।

৩. নালন্দাতে তিনি পাঁচবছর ছিলেন।

৪. তাঁর লেখা বইগুলো থেকে আমরা তৎকালীন ভারতের ইতিহাস জানতে পারি।

  •  শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর  বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশে ঢাকা বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র গ্রন্থ তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে পড়েন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ওদন্তপুরী বিহারে মহাসংঘাচার্য শীলভদ্রের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন। দীক্ষান্তে তাঁর নাম হয় ‘শ্রীজ্ঞান’। ‘শ্রীজ্ঞান’ শব্দের অর্থ ‘যিনি জ্ঞানী’। তাঁর সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায়-

১. বাংলার তৎকালীন রাজা মহীপালের অনুরোধে তিনি বিক্রমশীলা

মহাবিহারে অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

২. অতীশ দীপঙ্কর বহু সংস্কৃত গ্রন্থ তিব্বতের ‘ভোট’ ভাষায়

অনুবাদ করেন।

৩. তিব্বতে তিনি ‘বুদ্ধের অবতার’ এবং ‘পরম জ্ঞানী’ রূপে পূজিত

হন।

৪. পরবর্তীকালে ইনি চিনে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে যান।

৫. তিব্বতেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাজধানী লাসার কাছে শ্রীজ্ঞান অতীশের সমাধি দেওয়া হয়।

  • ভাস্কো-ডা-গামা ভাস্কো-ডা-গামা    একজন পোর্তুগিজ নাবিক ছিলেন। পোর্তুগিজ এই নৌপর্যটক জলপথে ভারতে পৌঁছবার জন্যে অভিযানে বের হন। তিনি আফ্রিকার দক্ষিণে উত্তমাশা অন্তরীপ প্রদক্ষিণ করেন। পরে মোজাম্বিক ও কিনিয়ায় যান। তাঁর সম্পর্কে আমরা যা জানি তা এমন-

১. ভাস্কো-দা-গামা ১৪৯৭ খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে ভারতবর্ষের খোঁজে অকূল সমুদ্রে পাড়ি দেন। সুদীর্ঘ ১১ মাস তিনি সমুদ্রে পথে পথে ঘোরেন।

২. আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে ১৪৯৮ সালে, মে মাসের ২০ তারিখে ভারতবর্ষের দক্ষিণ উপকূলের কালিকট বন্দরে এসে পৌঁছান।

৩. ভাস্কো-দা-গামা মালাবার উপকূলে তিনি ছ’মাস ছিলেন।

৪. ১৫২৪ সালে তাঁকে ভারতে পোর্তুগিজ সরকারের ভাইসরয় করে পাঠানো হয়।

  • শঙ্করাচার্য: শঙ্করাচার্য হিন্দুধর্মের বিখ্যাত ধর্মগুরু ছিলেন।

ইনি বর্তমান কেরল রাজ্যের কালাদি গ্রামে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্পবয়সে পুরাণে অভিজ্ঞ হন। তিনি হিন্দু ধর্ম ও দর্শনের শঙ্করাচার্য ব্যাখ্যাতা হয়ে ওঠেন। হিন্দু ধর্ম প্রচারের জন্যে তিনি পুরি, দ্বারকা, বদ্রিনাথ ও শৃঙ্গেরীতে মঠ তৈরি করেন।

বৌদ্ধধর্ম ভারতবর্ষে তখন বিস্তৃত ছিল। শঙ্করাচার্য হিন্দু দর্শনকে পুনর্জন্ম দান করেন। তার মতে-

ক। ব্রহ্ম হলেন নির্গুণ।

খ। জিব ও ব্রহ্মের মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক।

গ। ব্রহ্মের দর্শনই জীবের একমাত্র কাম্য।

ইনি পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ করেছিলেন। হিন্দুধর্ম প্রচারে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। শঙ্করাচার্য ভগবদ্গীতার ভাষ্য রচনা করেছিলেন। ৮২০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৩২ বছর বয়সে এই ধর্মাচার্যের দেহান্তর ঘটে।

৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:

৫.১ “প্রাণী মাত্রেই খাবার সংগ্রহ করতে হয়”-গাছ কীভাবে না দৌড়ে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে?

উত্তর:

৫.৩ “গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্যটা আমাদের চোখে পড়ে সাধারণত উচ্চতর প্রাণীর মধ্যে।”-পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রাণীদের গমনাগমনের মাধুর্য কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা আলোচনা করো।***

উত্তর:

৫.৪ “এ পথে আমি যে গেছি”-রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গটি পাঠ্যাংশে কোন্ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর:

৫.৫ “এরকম মনে করলে ভুল হবে।”-কোন্ দুটি বিষয়ের ভুল সাপেক্ষে এমন মন্তব্য করা হয়েছে?

উত্তর:

৫.৬ উচ্চতর জীবের পেশি কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে শক্তি উৎপাদিত হয়?

উত্তর:

৫.৭ “ক্রমবিকাশের ইতিহাস জানা যায়”-এ প্রসঙ্গে লেখক কোন্ তথ্যের অবতারণা করেছেন?

উত্তর:

৫.৮ “মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন”-এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন?

উত্তর:

৫.৯ “মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়।”-নিজের চলা ছাড়া বর্তমানে মানুষ কী কী জিনিস চালাতে সক্ষম?

উত্তর:

 ৫.১০ “এখন মানুষ আকাশটাকে নতুন করে ঘোড়া দৌড়ের মাঠ করে তুলেছে।”-মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

উত্তর:

৫.১১ “এ যাত্রা তোমার থামাও”- লেখক কাকে একথা বলেছেন? এর কোন্ উত্তর তিনি কীভাবে পেয়েছিলেন?

উত্তর:

সংযোজিত প্রশ্ন

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১. “বাইরের চলাটা আসল নয়”- কোন্ প্রসঙ্গে লেখকের এই উক্তি? তাঁর এমন মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তর:

২. “একেবারে কখনও থেমে যায়নি।”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? তার চলার ভঙ্গিটির সম্পর্কে লেখো। বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?*** __________________________________________________________________________

উত্তর:

৩. “তোমার কেন চলবার জন্য এত দায়।”- কাকে উদ্দেশ্য করে কে এই বক্তব্যটি উপস্থাপন করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে উত্তরদাতা কী বলেছিলেন?

উত্তর:

ব্যাকরণের সহজ পাঠ

১. পদ পরিবর্তন করো:

সুন্দর, বিস্ময়, শরীর, জন্তু, অণুবীক্ষণ, দৈহিক।.

উত্তর:

২. কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:

২.১ নদীর দৌড় সাগরে।

উত্তর:

২.২ কত মন্দগতিতে অ্যামিবা যে চলে…।

উত্তর:

২.৩ তাদের সিলিয়া বলা হয়।

উত্তর:

২.৪ পাখিরা বহু দূরত্ব পার হতে পারে।

উত্তর:

২.৫ থামা মানে জীবনের শেষ।

উত্তর:

৩. সন্ধি বিচ্ছেদ করো:

কিংবা, যথেচ্ছ, গমনামন, অত্যধিক, সঞ্চালন, ত্রিভুবনেশ্বর।

উত্তর:

৪. বিপরীত শব্দ লেখো:

দূরত্ব, উৎসুক, ত্বরা, জিব, উচ্চতর, গমন, ভুল, চলা। উত্তর: দূরত্ব-নৈকট্য, উৎসুক উদাসীন, ত্বরা-ধীরে, জিব- নির্জীব, উচ্চতর-নিম্নতর, গমন-আগমন, ভুল-ঠিক, চলা- থামা।

Shopping Basket
0
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop